Google search engine

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ, দুই উইকেট নিলেন মুশফিক হাসান। কিন্তু এমন দিনে তিনশ ছাড়িয়ে গেলো সফরকারীদের রান।

সিলেটে চারটি তিনদিনের ম্যাচের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মঙ্গলবার প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান করেছে ক্যারিবিয়ানরা। আগের দুই ম্যাচে আফিফ হোসেন নেতৃত্ব দিলেও এ ম্যাচে স্বাগতিকদের অধিনায়ক সাইফ হাসান।

সিলেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন কার্ক ম্যাকেঞ্জি। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে পারেননি তিনি।

আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যাকেঞ্জি। দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্টে বাংলাদেশকে ভোগানো ম্যাকেঞ্জি এদিন আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জ্যাক ম্যাকক্যাসকি। মুশফিকের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটেন ১ রান করা এই ব্যাটার।

চন্দরপলকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দিতে থাকেন অ্যালিক অ্যাথানজে। এদিন শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন চারে নামা এই ব্যাটার। দ্রুত রান তুলে ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পঞ্চাশ পেরোনোর পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অ্যাথানজে। নাসুমের বলে রিভার্স সুইপ করতে করতে গিয়ে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

মাহমুদুল হাসান জয় ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিলে সাজঘরে ফিরতে হয় ৫৯ রান করা অ্যাথানজেকে। তার বিদায়ে ভাঙে চন্দরপলের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন চন্দরপল ও ডি সিলভা। গত ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এদিন ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৯৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন চন্দরপল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭২ বলে।

তাদের দুজনের ১৩২ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি সিলভা। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়া ক্যারিবীয় অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৮২ রানের ইনিংস খেলে। ডি সিলভার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি চন্দরপলও। মুশফিকের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।

সোহানের দারুণ ক্যাচে ৮৩ রানে ফিরতে হয় চন্দরপলকে। দ্রুত বিদায় নিয়েছেন টেভিন ইনল্যাচ। তাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন নাসুম। এরপর অবশ্য কেভিন সিনক্লেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন রেইমন রেইফার। শেষ বিকেলে আর কোনো বিপদ না হওয়ায় ৬ উইকেটে ৩২০ রান নিয়ে দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেইফার ৫৬ আর সিনক্লেয়ার অপরাজিত ২২ রানে। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম তিনটি আর মুশফিক দুটি উইকেট নিয়েছেন।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here