Google search engine

মেসির নেতৃত্বে মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দ্যুতি দেখতে মুখিয়ে ছিল পুরো চীন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেসিদের ম্যাচের মাধ্যমে তাদের সেই আক্ষেপ মিটেছে। বিশ্বকাপের শেষ ষোলেতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা আধিপত্য ধরে রাখল প্রীতি ম্যাচেও। মেসির গোলে এগিয়ে আলবিসেলেস্তারা

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে তিন বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে যার ফলও পেয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসির গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে আলবিসেলেস্তারা।

কেন মেসি বিশ্বসেরা, আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি। খেলা শুরুর দুই মিনিটের মাথায় গোল করেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এঞ্জো ফার্নান্দেসের বাড়ানো বল থেকে মেসির দুর্দান্ত শটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে দ্বিতীয় বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে, ডি মারিয়ার পাস থেকে মেসির ডান পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের ২০তম মিনিটে প্রথমবারের মতো সংঘবদ্ধ আক্রমণ করলেও ম্যাথিউ লেকির ক্রসে কেউ মাথা ছোঁয়াতে না পারায় গোলের দেখা পায়নি অস্ট্রেলিয়া। শুরুর ১৫ মিনিটে বল দখলে একক আধিপত্য দেখালেও সময়ের সাথে খেলায় ফিরে আসে অস্ট্রেলিয়াও।

ম্যাচের ২৭তম মিনিটেগোলে সুবর্ণ সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। ডান প্রান্ত দিয়ে কিয়ানু বাকাসের ক্রস থেকে মিচেল ডিউক পা ছোঁয়ালেও বল প্রথমে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজের শরীরে ও পরবর্তীতে বারে লেগে ফিরে আসে। দ্রুতই বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দলকে সেযাত্রায় রক্ষা করেন মার্টিনেজ।

ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে ফের একবার গোলের সুযোগ পান মেসি। তবে এবারও বারের ওপর দিয়ে বল চলে গেলে হতাশ হতে হয় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে। এরপর বাকি সময়ে গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

সবশেষ গত ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ২-১ গোলে সকারুদের হারায় তারা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনার খুব বেশি দেখা না হলেও এখনও পর্যন্ত আটবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। ১৯৮৮ সালে প্রথম সাক্ষাতে হেরেছিল লাতিন আমেরিকার জায়ান্টরা। পরের সাত ম্যাচের ৬টিতে তারা জিতেছে, ড্র হয়েছে একটি।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here