
১৪ বছরের অপেক্ষা, অবশেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। কুয়েতের বিপক্ষে জিতলে ১৮ বছর পর খেলা হতে পারে সাফের ফাইনালেও। সেই স্বপ্ন এখন দেখতেই পারে হাভিয়ের কাবরেরার দল, কারণটা রাকিব-মোর্সালিনদের আত্মবিশ্বাস।
লেবানেনর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারার পর জামালদের জন্য প্রত্যেকটা ম্যাচই ছিল ডু অর ডাই। মালদ্বীপের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমেই ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলো লাল-সবুজদের নিয়ে। কিন্তু রাকিব-তারেক কাজী আর মোর্সালিনের গোলে শেষ অব্দি ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ভূটানের বিপক্ষে অবশ্য জয় না পেলেও হতো। ড্র কিংবা এক গোলের ব্যবধানে হারও জামালদের পৌঁছে দিতো সেমিফাইনালে। কিন্তু কোনো সমীকরণের ধার ধারেনি রাকিবরা, মালদ্বীপ ম্যাচের স্মৃতিই ফিরিয়ে এনেছে ভূটানের বিপক্ষেও। ১২ মিনিটের এক গোল হজম করার পর ম্যাচ শেষ করেছে ৩-১ গোলে জিতে।
শুরুতে গোল হজমের পর ২২ মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে বাংলাদেশকে সমতা এনে দেন শেখ মোর্সালিন। ব্যবধান ২-১ হয় ৩০ মিনিটে, রাকিবের শট ভুটানের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে চলে যায় জালে। তবে ৩৬তম মিনিটে ঠিকই গোল করেন রাকিব। এরপর আর পুরো ম্যাচে কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দল।
