Google search engine

রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসল বাংলাদেশ-ভারতের লড়াই। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটিতে জয়-পরাজয় কোনো দলের জন্যই জরুরি ছিল না। কারণ ফাইনালিস্ট আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

তবে এশিয়া কাপের মঞ্চে বাজে পারফর্ম করা বাংলাদেশের জন্য একটা জয় ছিল খুব প্রয়োজনীয়। ভারতকে ৬ রানে হারিয়ে সেই আরাধ্য জয়টাই আজ তুলে নিল সাকিব আল হাসানের দল।

রান তাড়ায় নেমে অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিবের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় বৈধ বলেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (০) এনামুলের তালুবন্দি করেন তানজিম।

ফিরতি ওভারে এসেই তিনে নামা তিলক ভার্মাকে (৫) বোল্ড করে দেন এই পেসার। ১৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অপর ওপেনার শুভমান গিল এবং লোকেশ রাহুল হাল ধরেন। এই দুজনের ৫৭ রানের জুটি ভাঙে মেহেদি মিরাজের বলে লেকেশ রাহুল (১৯) আউট হওয়ায়। নতুন ব্যাটার ইশান কিশানকে (৫) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।

রিভিউ নিয়ে্ বাঁচতে পারেননি ইশান। ৩৩তম ওভারে নিজের প্রথম শিকার ধরেন সাকিব।

২৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ভাঙে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা (৭)।

 

কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার শুভমানের সেঞ্চুরি আটকানো যায়নি। ১১৭ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ। ৮ চার ৫ ছক্কায় ১২১ রান করা সেই শুভমানকে থামান শেখ মেহেদি। ক্যাচ নেন হৃদয়। তবে অক্ষর প্যাটেল আর শার্দুল ঠাকুরের ২৭ বলে ৪০ রানের ৮ম উইকেট জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় ভারত। শেষ ১২ বলে তাদের প্রয়োজন হয় ১৭ রানের।

 

৪৯তম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে (১১) তুলে নেন মুস্তাফিজ। স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মিরাজ। তৃতীয় বলে অক্ষরের বাউন্ডারি হজম করে পরের বলেই তাকে তানজিদের তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজ। ৩৪ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪২ রান করেন অক্ষর।

 

শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। তাননজিম সাকিবের প্রথম তিন বলে কোনো রান না এলেও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকান মোহাম্মদ শামি। শেষ বলে শামি রানআউট হয়ে গেলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ভারত। বাংলাদেশ পায় ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here