Google search engine

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে আছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। শেষ চারের পথে এগিয়ে যেতে দুই দলের সামনেই জয়ের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। এমন সমীকরণের মুখে দাঁড়িয়ে দুই দলের বাঁচা-মরার ম্যাচের মাঝে বাগড়া দিয়েছিল বেরসিক বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্য থামলেও পরে আবারও হানা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আর খেলা মাঠে না গড়ানোয় ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন মেথডে ২১ রানে জিতেছে পাকিস্তান।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলমান বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে রাচিন রবীন্দ্রর রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে রান তাড়ায় দুই দফায় বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলেছে পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাবরদের দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আশা বেঁচে রইলো পাকিস্তানের। ৪০১ রান করেও জিততে না পারা নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনাও অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি। দুই দলেরই ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকায় নিউজিল্যান্ড চারে, পাকিস্তান পাঁচে। সমান পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান নেমে গেছে ছয়ে।

নিউজিল্যান্ডের গড়া পাহাড়সম সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। টিম সাউদির বলে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাবর-ফখরের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এর মাঝে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ২০ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই সেঞ্চুরি করেন ফখর।

এদিন মাত্র ৬৩ বল মোকাবিলায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ফখর। ছয়টি চারের সঙ্গে নয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ওয়ানডেতে ৩৩ বছর বয়সী ফখরের এটি একাদশ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তার ঝোড়ো শতকে ২১.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ১৬০ রান তুলে ফেলার পর বেঙ্গালুরুতে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি।

এরপর বৃষ্টি থামলে বাবর আজমদের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান। তবে ২৫ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করার পর আরও একবার বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। ডিএল মেথডে ২১ রানে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে বাবর আজমের দল। এরপর বৃষ্টির বাগড়া না থামায় খেলা আর মাঠে না গড়ানোয় পাকিস্তানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ফখর ৮১ বলে ১২৬ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৬৩ বলে ৬৬ রানে ক্রিজে থাকেন।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here