
ইডেন গার্ডেনে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দাপুটে ক্রিকেট খেলা দুই দলের ম্যাচ। উত্তেজনা চরমে উঠতে এই তথ্যটুকুই যথেষ্ট ছিল। টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমেই দারুণ দারুণ শুরু পায়।
রোহিত শর্মা রীতিমতো খুনে ব্যাটিং করতে থাকেন। তখন মনে হচ্ছিল রানবন্যার ম্যাচই হতে যাচ্ছে। ম্যাচের রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল জন্মদিনে বিরাট কোহলির শচীনকে ছোঁয়া সেঞ্চুরি। কিন্তু হতাশ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারেনি ডি ককরা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ৩২৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে জন্মদিনে নিজেকে উপহার দেন বিরাট কোহলি। সেই সেঞ্চুরিতে ছুঁলেন ওয়ানডে ৪৯ সেঞ্চুরি করা শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড।
কোহলির ৩৫ বছর পূর্ণের দিনকে সামনে রেখে ইডেন সেজেছে বিশেষ রূপে। অবশ্য ম্যাচের শুরুর ঝলকটা দেন রোহিত শর্মা। শুভমান গিলকে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬২ রান। কাগিসো রাবাদার শিকার হয়ে ২৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ভারতীয় অধিনায়ক। এরপরই আগমন কোহলির। যার জন্য মঞ্চ সাজিয়ে রেখেছিল ইডেন।
জন্মদিনে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা সপ্তম ব্যাটার কোহলি, বিশ্বকাপে তৃতীয়। চলতি আসরে এর আগে জন্মদিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ।
১১৯ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া কোহলি পরে আর বল খেলার সুযোগ পান দুটি। ১০ চারে সাজানো ইনিংসটিতে অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। অপরপ্রান্তে ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
বড় লক্ষ্যের জবাব দিতে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিজালে আটকা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটে কেবল আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকে ব্যাটারদের। সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন মার্কো ইয়ানসেন। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার।
বাকিরা সবাই ফেরেন এক অঙ্কের ঘরে থেকে। ভারতের হয়ে জাদেজা সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদবের শিকার দুটি করে উইকেট। জন্মদিনে দুর্দান্ত ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা হয়েছেন কোহলি।
