
বিপিএলের পরেই দেশের মাটিতে আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। টাইগারদের বিপক্ষের এই সিরিজে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। যেখানে টেস্ট সিরিজ খেলতে চাইছেন না পেসার তাসকিন আহমেদ। এই বিষয়ে কঠোর অবস্থানে না যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিসিবি।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সিলেট থেকে তাসকিনের বিষয়ে কথা বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এছাড়াও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ক্রিকেট অপরেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তাসকিনের বিষয়ে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই নাই আমাদের কাছে। মাত্রই যেহেতু শুরু হলো মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট নিয়ে একটা আলোচনা হবে। ওদের আপডেট পাওয়ার পর আমরা কাজ করব। আমরা মনে হয় এখন পর্যন্ত যা আপডেট আছে সব খেলায়াড় ফিট আছে। আর তাসকিন এখন পর্যন্ত খেলছে তো। আমাদের কাছে কোনো নেগেটিভ কিছু নেই। টেস্ট না খেলতে চাইলে বিষয়টা বিসিবি বিবেচনা করবে।’
বিসিবির প্রধান নির্বাচক আরও বলেন, ‘ওর ব্যাপারটা মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট দেখছে। আমরা অপেক্ষায় আছি। আমরা চাইব খুব দ্রুত আমাদের সেরা খেলোয়াড় যেন দলের সঙ্গে যোগ দেয়। ওর জন্য অপেক্ষায় থাকব। ইনশাআল্লাহ ও তাড়াতাড়ি খেলায় ফিরে আসবে সবদিক দিয়ে।’
এদিকে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমে বলেন, ‘তাসকিন শ্রীলঙ্কা সিরিজের টেস্ট খেলতে না চাইলে আমরা আলোচনা করব। তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাই না। কারণ সামনে বিশ্বকাপ আছে। বিপিএল শেষ হলেই আমরা আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই চোটের সমস্যায় ভুগছেন পেসার তাসকিন। এ কারণে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও নিউজিল্যান্ড সফরেও খেলা হয়নি তার। চলতি বিপিএলেও চোট ভুগিয়েছে ডানহাতি এই পেসারকে। সিলেটের মাটিতে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে টেস্ট থেকে বিরতি চান তিনি। ইতোমধ্যে চিঠিও দিয়েছেন বোর্ডকে।
বিপিএলের দশম আসরের ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামী ১ মার্চ। সেদিনই বাংলাদেশে আসবে লঙ্কান বাহিনী। টাইগার-লায়নদের মাঠের লড়াই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। আগামী ৪, ৬ ও ৯ মার্চ সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এরপর তিন দিনের বিরতি দিয়ে চট্টগ্রামে দুই দল নামবে ৫০ ওভারের লড়াইয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ১৩ মার্চ। এরপর ১৫ ও ১৮ মার্চ হবে শেষ দুই ওয়ানডে। চট্টগ্রাম যাত্রা শেষে দুদল আবার ফিরবে সিলেটে। সেখানে ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। তিন দিনের বিরতি দিয়ে দুদল আবার চট্টগ্রামে ফিরে মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় টেস্টে।
