দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছেন। দলীয় অর্জনের দিক থেকে হয়তো বাংলাদেশকে বড় কিছু এনে দিতে পারেনি। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলিটা বেশ লম্বা সাকিবের। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারের আসনে বসার গৌরব শুধুমাত্র সাকিবেরই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাকিব নিজের অবসর নিয়ে মুখ খুলেছেন। ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সাকিব নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন। লাল বলে সাদা পোশাকের শেষ ম্যাচটি দেশের মাটিতে খেলতে চান। কিন্তু দেশে আইনি জটিলতা থাকায় তিনি বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন বিসিবিকে।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দেশের ক্ষমতার পট পরিবর্তনের কিছুদিন পরেই তাকে একটি হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। যে কারণে তার দেশে ফেরা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। অবশ্য দেশে ফেরা নিয়ে বিসিবির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন সাকিব।
টি-টোয়ন্টি ফরম্যাটে অবসরের ঘোষণা দেয়ার সময় সাকিব দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে নিজের শেষ ম্যাচ খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। দেশে ফেরা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’
দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘আমার দেশের সমর্থকদের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করাটা উপযুক্ত হবে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং এই ফরম্যাটের শেষটা আমি ঘরের মাঠেই খেলতে চাই।’
আইনি জটিলতায় যদি দেশে আসতে না পারেন তাহলে কানপুর টেস্টই হবে সাদা পোশাকে তার শেষ ম্যাচ। সাকিব সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন, ‘আমি বিসিবির কাছে নিজের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি। যদি তা না হয়, তাহলে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ টেস্ট হবে।’
নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত ও দেশে ফেরা নিয়ে বিসিবির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভেইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কি পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’
বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে সাকিব জানিয়েছেন, ‘ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে এভাবেই আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কিভাবে সুন্দর ভাবে আয়োজন করা যায়।’
সাকিব আল হাসান
অলরাউন্ডার
বাংলাদেশ ক্রিকেট
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
অবসর
