
সাকিব আল হাসান দেশে ফিরছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিসিবি থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে তাকে দলেও নিয়েছিলো নির্বাচকরা। শোনা যাচ্ছিলো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই হয়েই বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন তিনি। তবে মাঝরাতে হঠাৎ নাটকীয়তা, দুবাই এসেই আটকে গেলেন সাকিব। দেশে তিনি ফিরতে পারবেন কি না এ নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
এর আগে কানপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানিয়েছিলেন ঘরের মাঠ থেকেই তিনি অবসরে যেতে চান। সে হিসাবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই সিরিজে খেলার ইচ্ছাপোষণ করেন। নানা জল্পনা-কল্পনার পর যখন সাকিব ফিরবেন এমনটাই নিশ্চয়তাই দেওয়া হয়েছিলো, এরপরই সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে দেশে আসবেন বলে জানা গিয়েছিলো। তবে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতের প্রথম প্রহরে হঠাৎ করেই সাকিবের দেশে আশা নিয়ে দেখা গেলো শঙ্কা।
যমুনা টিভির সূত্রমতে জানা যায়, দল ঘোষণার পরেই সবাই ধরে নিয়েছিলো সাকিব ফিরছেন। বিসিবিও প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঘরের মাঠে দেশসেরা অলরাউন্ডারকে বিদায় জানানোর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইতেও তিনি চলে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুবাই থেকেই দুপুরের ফ্লাইটে ঢাকা আসার কথা তার। তবে নতুন করে আবারও ঘটনা মোড় নিয়েছে, শেষ মুহুর্তে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
যমুনা টিভির সূত্রমতে আরও জানা যায়, সাকিব আল হাসানকে আপাতত ফ্লাইটে উঠতেই নিষেধ করা হয়েছে। এখানে তার নিরাপত্তা ইস্যুও বড় একটি কারণ। আপাতত বৃহস্পতিবার বিকাল অব্দি তিনি অপেক্ষা করবেন। তবে সাকিবকে ফ্লাইটে উঠতে কে নিষেধ করেছে তা জানা যায়নি। যদিও বিসিবি কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাকিব আল হাসানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিই নজর দিয়েছেন। তবে দেশের মাটিতে এত সহজে যে তিনি ফিরছেন তা অনেকটাই বলা যায়, আপাতত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন কি জানা যায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশে এসে পৌছেছে প্রোটিয়াদের টেস্ট দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফিল সিমন্স।
