
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন লেগেই আছে। জাতীয় দলের ন্যায় ‘বাংলাদেশ এ’ দলেও ব্যাটিং দুর্বলতা প্রবলভাবে প্রকাশ পেয়েছে ইমার্জিং এশিয়া কাপে। আর এই দুর্বল ব্যাটিং প্রদর্শনীর ফলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত কার্যকরী ফলাফল আসেনি টাইগারদের। ফলে লঙ্কানদের দেওয়া ১৬২ রানের তাড়ায় ১৯ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সফরকারীরা।
ওমানের আল আমিরাতের স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকে লঙ্কান ব্যাটাররা। মাঝপথে ছন্দপতন হলেও চতুর্থ উইকেটে পাভান রত্নায়েকে ও সাহান আরাচিগের ৬৪ রানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোরকার্ড দাঁড় করায়। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৬১ রান জমা পড়ে তাদের স্কোরবোর্ডে। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন পাভান। সাহান করেন ৩০ রান। বাংলাদেশের হয়ে রিপন মন্ডল ও রেজাউর রহমান রাজা দুটি করে উইকেট নেন।
১৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়। ২২ বলে ৪১ রান করে এই ওপেনিং জুটি ভাঙে। ইমন ১০ বলে দুটি ৪ ও ছয়ে ২৪ রান করে আউট হন। তারপর সাইফ গতি বাড়ালেও অল্প সময়ের মধ্যে তাকেও মাঠ ছাড়তে হয়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে ২০ বলে ২৯ রান করেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতে ৫৯ রান করে বাংলাদেশ ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল।
টপ অর্ডার দুর্দান্ত শুরু করলেও মিডল অর্ডার ছিল পুরোদস্তুর ব্যর্থ। টুর্নামেন্টে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ১৫ বলে করেন মাত্র ৮ রান। এ ছাড়া তাওহীদ হৃদয় ১২, আকবর আলি ৯, শামিম পাটোয়ারী ৪ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৭ রানে আউট হন। ফলে বাংলাদেশের ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া একপ্রকার সুনিশ্চিত হয়ে যায়। পরিশেষে বাংলাদেশকে থামতে হয় ৭ উইকেটে ১৪২ রানে। ফলে ১৯ রানে হেরে এই টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় দলটি।




