
উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোর জন্য এখানকার কন্ডিশনে ক্রিকেট খেলা বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট খেলা অনেকটাই কঠিন। নিজেদের দেশে গতি ও বাউন্সের সাথে খেলে অভ্যস্ত ক্রিকেটাররা উপমহাদেশে এসে খেলেন টার্নিং পিচে। যেকারণে এখানে মানিয়ে নিয়ে পারফর্ম করা কঠিন হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অনেকদিন পর এই ধরনের কন্ডিশনে ম্যাচ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মিরপুরের পিচে খাবি খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দল, দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এইডেন মার্করাম জানেনও সেটা। এজন্য ম্যাচ শেষে বললেন, এই জয়টা তার জন্য স্পেশাল।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এসেছিলেন মার্করাম। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এটা (এমন জয় পাওয়া) স্পেশাল। আপনি যেটা বললেন বেশ তরুণ এবং কিছুটা অনভিজ্ঞ দল এটি। উপমহাদেশের কন্ডিশনে এসে ম্যাচ জেতা দারুণ ব্যাপার আমাদের জন্য। ড্রেসিংরুমে আমাদের অনেক স্বস্তি দিবে এই জয়। সাথে আমাদের মাঝে আত্মবিশ্বাসও দিবে যে এমন কন্ডিশনেও আমরা ভালো লড়াই করতে পারি। আমাদের জন্য এটা অনেক কিছু। উপমহাদেশে বাংলাদেশের মত কন্ডিশনে ম্যাচ খেলাটা সামনে আমাদের অনেক রোমাঞ্চিত করে দেবে।”
মার্করাম আরো বলেন, “আসলে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হলে কোনো কিছু এমনি এমনি পেয়ে যাবেন এরকমটা ভাবা চলবে না। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে খেলছি তবে উপমহাদেশে আগে কখনও (টেস্ট) ম্যাচ জিতিনি। ফলে এটা স্পেশাল মোমেন্ট ছিল আমাদের জন্য। সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা আপনি এখান থেকে নিতে চাইবেন তা হল বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাস, একটি দল হিসেবে। মানসিক দিক থেকে এটি আমাদের চাঙ্গা করবে। আমার মনে হয় সামনে এগিয়ে যেতে এটি সাহায্য করবে আমাদের। চেষ্টা করব টানা ভালো করে যেতে এবং দ্বিতীয় ম্যাচেও যেন চ্যালেঞ্জটা সামলাতে পারি।”
মিরপুরের এই টেস্ট ম্যাচের উইকেটকে স্পিন সহায়ক মনে হলেও মার্করামের ক্রিকেট মস্তিষ্ক খুঁজে নিয়েছে উইকেটের সিম মুভমেন্ট ও বাউন্স। ফলে আরেকজন পেসার বেশি খেলানো যেতো বলে অভিমত তার।
তিনি বলেন, “উইকেটে সিম মুভমেন্ট ছিল বাউন্স অসম ছিল। আরেকজন পেসার খেলানো যেত, আমার মনে হয় দুই দলই এখানে একমত হবে।”
