Google search engine

জটিলতা কাটেনি এখনো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু এবং আয়োজক দেশ নিয়ে আইসিসির সবশেষ বৈঠক চলেছে কেবল ২০ মিনিট। ভারত ও পাকিস্তানের একরোখা সিদ্ধান্তের কারণে এখন পর্যন্ত আটকে আছে ক্রিকেটের মিনি বিশ্বকাপখ্যাত প্রেস্টিজিয়াস এই আসরের সব আনুষ্ঠিকতা।

গতকাল কোনো সিদ্ধান্ত না আসার পরেই আইসিসি নিজেদের বৈঠক মুলতবি রেখেছে আজ শনিবার পর্যন্ত। সভায় কোনো পক্ষই সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গতকালই অভ্যন্তরীণ সভা শেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোনোভাবেই হাইব্রিড মডেলে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। এমনকি ওই মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে অংশগ্রহণ না করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি।

এরইমাঝে খবর বেরিয়েছে, হাইব্রিড মডেল মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে পাল্টা তিনটি শর্ত দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তাদের সূত্রের বরাতে শর্তগুলোর কথা প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তান ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে অনুষ্ঠিতব্য সকল আইসিসি আসরেই নিজেদের জন্য হাইব্রিড মডেল দাবি করে রেখেছে।

পাকিস্তানের তিন শর্ত:

দুবাইয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা– ভারতের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ দুবাইয়ে হতে পারে। তাদের নক আউট পর্বের খেলাও সেখানে হলে সমস্যা নেই। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে যে সব দল খেলতে যাবে তাদের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত থাকতে হবে। অর্থাৎ, দুবাইয়ে অবস্থানরত সব দলের জন্যই সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ভারত বাদ পড়লে ব্যাকআপ লাহোর– ভারত যদি গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ে তা হলে আগের সূচি অনুযায়ী সেমিফাইনাল ও ফাইনাল লাহোরেই হবে। দুবাইয়ে আর কোনও ম্যাচ হবে না।

ভারতে আয়োজিত আইসিসি ইভেন্টও হবে হাইব্রিড মডেলে– এই শর্তে পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতকে যদি ভবিষ্যতে আইসিসি কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেয়, তা হলে পাকিস্তান খেলতে যাবে না। পাকিস্তানের সব প্রতিযোগিতা কোনও নিরপেক্ষ দেশে ফেলতে হবে।

এই তিনটি শর্ত আইসিসি মানলে তবেই ‘হাইব্রিড মডেল’-এ রাজি হবে পাকিস্তান।

Google search engine