
ক্রিকেট মাঠে নির্ভুলতার প্রতীক হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শারফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। শ্রীলঙ্কা ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার সাম্প্রতিক টেস্ট ম্যাচে তার আম্পায়ারিং দক্ষতা আবারও প্রমাণ করল কেন তিনি আজকের দিনে অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে বিবেচিত, কেনো বাংলাদেশের শারফুদ্দৌলা আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার। ডারবান টেস্টে সৈকতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ৮ বার। এই ৮ বারে প্লেয়াররা একবারও সফল হতে পারেননি। অর্থাৎ আট জায়গাতেই সঠিক ডিসিশন দিয়েছেন শারফুদ্দৌলা। ডিআরএস রিভিউগুলোর পরিসংখ্যানই তার দক্ষতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ২৩.৫ ওভারে মুলডারের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার নেওয়া রিভিউ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬.৬ ওভারে মেন্ডিসের আউট নিয়ে শ্রীলঙ্কারই নেওয়া রিভিউ—সবগুলোতেই তার সিদ্ধান্ত ছিল নিখুঁত। শারফুদ্দৌলার এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স শুধুমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের গর্বিত করছে না, এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মানকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। শারফুদ্দৌলার মতো একজন আম্পায়ার খেলার সৌন্দর্য ও ন্যায্যতাকে নিশ্চিত করে, যা কেবল খেলোয়াড় ও দলের জন্যই নয়, বরং সমগ্র দর্শকশ্রেণির জন্যও অনুপ্রেরণাদায়ক।
২০২৪ সালের শুরু থেকেই নিয়মিত বড় ম্যাচগুলো পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছেন শারফুদ্দৌলা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আম্পায়ারিং করবেন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও। পুরো বছর শুধু পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট বাদ দিলে সব টেস্টেই শারফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ছিলেন সেরা অন-ফিল্ড আম্পায়ার। দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই আরেক অন ফিল্ড আম্পায়ার পল রেইফেলের বিপক্ষে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল হয়েছেন খেলোয়াড়েরা, তবে এদিন পল রেইফেলও ভালো করেছেন৷ তবে শারফুদ্দৌলা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। তার এই দক্ষতা তাকে ক্রিকেট বিশ্বে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তার নির্ভুল সিদ্ধান্ত এবং স্থির মানসিকতার কারণে তিনি আজ আম্পায়ারিং জগতের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন।
