Google search engine

টানা তিন ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর অবশেষে লা লিগায় জয়ে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। বিরতির আগে-পরে একবার করে লক্ষ্যভেদ করে তারা সহজেই হারাল জিরোনাকে।

ঘরের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোববার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। স্প্যানিশ লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের প্রথমার্ধে দারুণ গোলে এগিয়ে দেন অভিজ্ঞ ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।

এই জয়ে ২৫ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট বেড়ে হলো ৫৪। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট রয়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার নামের পাশে। তবে গোল ব্যবধানে রিয়ালের (+৩১) চেয়ে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সা (+৪২)। দুইয়ে থাকা রিয়ালের ঠিক পেছনেই আছে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ২৫ ম্যাচের তাদের পয়েন্ট ৫৩।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে লা লিগায় এস্পানিয়লের মাঠে হেরে যায় রিয়াল। এরপর নিজেদের মাঠে অ্যাতলেতিকোর সঙ্গে ড্র করে তারা। তারপর তাদেরকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় ওসাসুনার মাঠেও।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অন্য সব প্রতিযোগিতায় ভালো করলেও লিগে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় হতাশা জেঁকে ধরে রেখেছিল রিয়ালকে। জিরোনাকে হারিয়ে তা দূর করে ফেলল আনচেলত্তির দল। এই ম্যাচে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে অনুমিতভাবে আধিপত্য করে তারা। ৬৩ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা দলটি গোলমুখে নেয় ২২টি শট। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।

৪১তম মিনিটে মদ্রিচের দূরপাল্লার চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। রদ্রিগোর কর্নার প্রতিহত হওয়ার পর ডি-বক্সের অনেক বাইরে বল পেয়ে যান তিনি। বুক দিয়ে তা নামিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ে নেন জোরাল শট। হাওয়ায় ভাসা বল ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষককে এড়িয়ে জড়ায় জালে।

৫৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়েনি ভাগ্যের ফেরে। ভিনিসিয়ুসের শট বাধা পায় ক্রসবারে। ৭৯তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপেকে হতাশ করেন জিরোনার গোলরক্ষক। আটকে দেন ফরাসি স্ট্রাইকারের প্রচেষ্টা। তবে চার মিনিট পর আর পারেননি। দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণে এমবাপের পাসে প্রথম ছোঁয়ায় জাল কাঁপান ভিনিসিয়ুস। যোগ করা সময়ে আরেকটি সুযোগ পেলেও সফল হননি এমবাপে।

Google search engine