Google search engine

ঢাকা প্রিমিয়া লিগের (ডিপিএল) ট্রফিটা যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তিই বানিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। তার প্রমাণ ২৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সর্বশেষ দুই ডিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আজ হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে তারা।

‘অঘোষিত’ ফাইনালে আজ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী।লিগের প্রথম পর্বে প্রতিপক্ষের কাছে হারলেও শেষে ঠিকই হাসিটা নিজেদের মুখেই ধরে রাখল আবাহনী। তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ১৫ বছর ধরে শিরোপা জিততে না পারা মোহামেডানের অপেক্ষাটা আরো বেড়ে গেল।মিরপুরে ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না আবাহনীর। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই শাহরিয়ার কমলকে হারিয়ে বসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বাধীন দল।তবে শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠিয়ে জিতেছে বসুন্ধরাই। তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক সৈকতই।

 

সৈকতকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। দলীয় ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আবাহনীকে আর বিপদে পড়তে দেননি দুজন।পঞ্চম উইকেটে অপরাজিত ১৩৫ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তারা। সৈকতের ৭৮ রানের বিপরীতে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক মিথুন। এর আগে বল হাতেও ২ উইকেট নিয়েছেন সৈকত।সৈকত-মিথুনের জয়সূচক জুটির আগে অবশ্য জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন জিশান আলম। তিনে নেমে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।২৮ রানের ইনিংস খেলে অবদান রেখেছেন পুরো টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক পারভেজ হোসেন ইমন। শীর্ষে থাকা এনামুল হক বিজয়ের ৮৭৪ রানের বিপরীতে ৭৯৮ রান করেছেন আবাহনীর বাঁহাতি ওপেনার। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।

 

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করে মোহামেডান। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান করে শুরুটা ভালোই করেছিল দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও তৌফিক খান তুষার। ১৬ রানে উইকেটরক্ষক ব্যাটার তুষার আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। এ সময় ৪৫ রানে ফেরেন অধিনায়ক রনিও।মাঝে অবশ্য দুটি ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলকে আড়াই শ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম। দুজনই সমান ৫০ রান করেন। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ২ করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

Google search engine