
অনেকটা হঠাৎ করেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ভারতের সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। গত ১২ মে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বিসিসিআই তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করলেও তা আমলে নেননি কোহলি।
কোহলির আচমকা অবসরের পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম বলেছে, কোহলির অবসর গ্রহণের পেছনে ভূমিকা রেখেছে অধিনায়কত্বের বিষয়। বিসিসিআই কোহলির চাহিদামতো সেই দায়িত্ব না দেওয়ায় নাকি তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন!
জানা যায়, ভারতের সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝে কোহলিকে আবার অধিনায়ক করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কোহলিকে সেই বিষয়ে ইঙ্গিতও নাকি দেওয়া হয়েছিল। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পরই রোহিতকে সরিয়ে তাকে অধিনায়ক করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেটা হয়নি।
আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজকে কেন্দ্র করে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করবে বিসিসিআই। সে দৌড়ে আপাতত শুবমান গিল এগিয়ে আছেন বলেই খবর দেশটির গণমাধ্যমের। তাই এবারও নেতৃত্বের বিবেচনায় তিনি নেই ধরে নিয়েই কোহলি অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোহলির আচমকা অবসর নিয়ে রঞ্জি ট্রফির দল দিল্লির কোচ শরণদীপ সিং বলছেন, ‘(কোহলির অবসর নিয়ে) কোনো ইঙ্গিত পাইনি। অন্য কারও কাছেও শুনিনি। কিছুদিন ওর সঙ্গে মেসেজে কথা হচ্ছিল। তখনো বুঝতে পারিনি ও অবসর নেওয়ার কথা ভাবছে। আইপিএলে অসাধারণ ফর্মে রয়েছে। সে বলেছিল টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভারত এ দলের হয়ে দুটো ম্যাচ খেলবে। হঠাৎ করে এই খবর শুনছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফর্ম নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ায় শতরান করেছিল। তাতেও তৃপ্ত হয়নি। রঞ্জি ট্রফি চলার সময় আমাকে বলেছিল ইংল্যান্ডে গিয়ে ৩-৪টা শতরান করতে চায়। কারণ সে-ই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।’
লাল বলের ক্রিকেটে অবশ্য কোহলি সাম্প্রতিক সময়ে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না। গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পাঁচ টেস্টে তার গড় ছিল মোটে ২৩.৭৫। তাই অবসরের পেছনে তার এমন হতশ্রী ফর্মের ভূমিকাও যে একেবারে কম ছিল না, তা বলাই বাহুল্য।
