Google search engine

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে হতাশ বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুটি হারের পর পরাজয়কে জীবনের অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে আগের ম্যাচের মতো এবারও হারের অন্যতম কারণ হিসেবে শিশিরের প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি।সিরিজের শেষ ম্যাচে বুধবার (২১ মে) ১৬২ রানের পুঁজি নিয়েও জয় অধরাই থেকে যায় বাংলাদেশের। আমিরাত ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে এবং সিরিজও নিজেদের করে নেয়। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয় পেয়েছিল, যা লিটনের দলের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।

ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, ‘অবশ্যই প্রত্যাশিত নয়। আমরা যখন এখানে এসেছি, সবসময় জিততেই চেয়েছি। তার পরও, এটা জীবনেরই অংশ। ক্রিকেটে কখনও কখনও প্রতিপক্ষও ভালো খেলে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হয়।’

তবে কৃতিত্ব দিলেও হারের পেছনে শিশিরের প্রভাবকেই বারবার সামনে এনেছেন তিনি। আগের ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও একই অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

লিটন বলেন, ‘আমরা কিছু ভুল করেছি ব্যাটিংয়েও। এই উইকেট ও কন্ডিশনে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স হয়নি। তিন ম্যাচেই আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে বল করেছি।আমার মতে, শিশিরই মূল ব্যাপার ছিল।

আমিরাতের ভালো পারফরম্যান্স নিয়েও বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে শিশিরের প্রসঙ্গ। ‘তারা সত্যিই ভালো খেলেছে। প্রথম ভাগে ভালো বোলিং করেছে, এজন্য বেশি রান করতে পারিনি আমরা। তবে ব্যাটিংয়ে কিছুটা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে তারা।’

এরপরও লিটন স্বীকার করেন, আমিরাতের ব্যাটাররা চাপের মুখে ধৈর্য ধরে খেলেছেন, ‘যারা ব্যাট করেছে, তাদেরকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা অস্থির হয়নি।’

তবে এই হতাশাজনক সিরিজেও কিছু ইতিবাচক দিক দেখছেন তিনি। বিশেষ করে পারভেজ হোসেন ইমনের প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরি, তানজিদ হাসান তামিমের ধারাবাহিকতা, তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ব্যাটিং পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট লিটন।

লিটন দাস আরও জানান ,যেভাবে পারভেজ ইমন, তানজিদ তামিম, হৃদয় ব্যাট করেছে… জাকেরও ভালো ব্যাট করেছে। দু-একজন ভালো বোলিং করেছে। তবে আমাদের আরও শিখতে হবে এবং শেখা বিষয়গুলো ম্যাচে প্রয়োগ করতে হবে।

এই সিরিজ শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্রাম নিবে। এরপর শুক্রবার ও শনিবার দুবাইয়ে অনুশীলন করে লাহোরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

Google search engine