Google search engine

পেপ গার্দিওলা মানেই বার্সেলোনার সোনালি অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি। খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাবের হয়ে প্রায় দুই দশক এবং কোচ হিসেবে চার বছরে এনে দিয়েছেন দারুণ সব সাফল্য। কিন্তু সেই ক্লাবেই আর কখনো ফিরবেন না, এমনটা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। তাও আবার স্পষ্ট, নির্মম সুরে।

সম্প্রতি জিকিউ ম্যাগাজিনে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা বলেন, ‘এটা শেষ। চিরতরে শেষ। সময়টা ছিল দারুণ, কিন্তু এখন সেটা শেষ হয়ে গেছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসেবেও ফিরবো না, আমি এই কাজের জন্য যথেষ্ট ভালো নই।’

বার্সেলোনার কোচ হিসেবে গার্দিওলার সময়টিকে ধরা হয় ক্লাব ইতিহাসের সেরা সময়গুলোর একটি। এক মৌসুমে ছয়টি শিরোপা, তিকি-তাকা ফুটবলের সর্বোচ্চ রূপ, সবকিছুর পেছনে ছিল তার নিখুঁত পরিকল্পনা আর ফুটবল-চিন্তা। তাই তার এই ‘ফিরবেন না’ ঘোষণাটি নিঃসন্দেহে এক আবেগঘন অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনে দিল।

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও পরিষ্কার গার্দিওলা। যখন এই অধ্যায় শেষ হবে, তখন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্রামে যাবেন, সেটা এক বছর হতে পারে, আবার দশও হতে পারে বলে জানান তিনি, ‘যেদিন মনে হবে আর পারছি না, সেদিনই থেমে যাবো। পরে আবার ফিরব কি না, সেটা সময় বলবে।’

গার্দিওলা আরও বলেন, কোচিং পেশা যতটা গৌরবময়, ততটাই চাপে ভরা। প্রতি তিন দিন পর পর একাদশ বানাতে গিয়ে ১১ জন খেলোয়াড়কে ‘না’ বলতে হয়, যা একজন কোচের জন্য ভীষণ কষ্টকর। ‘যাদের নাম দিই না, তারা ভাবে আমি ওদের ভালোবাসি না। অথচ বাস্তবে আমি ওদের জন্যই বেশি কষ্ট পাই,’ বলেন তিনি।এছাড়া বার্সেলোনার উঠতি প্রতিভা লামিন ইয়ামালের প্রশংসা করলেও, তাকে এখনই মেসির সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন গার্দিওলা, ‘তুলনাটা বড় বিষয়, কিন্তু ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে দিতে হবে তাকে। আমরা ১৫ বছর পরে বিচার করতে পারি সে কেমন খেলোয়াড়।’

Google search engine