Google search engine

গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ১৭তম সভাপতি করা হয় ফারুক আহমেদকে। বিসিবি সভাপতি হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলা প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বোর্ডের সভাপতি হন সাবেক এই অধিনায়ক।

কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে বিসিবির নতুন সভাপতি করা হয় জাতীয় দলের সাবেক আরেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে।

সম্প্রতি জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দীনের ‘ঠিকানায়’র এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড থেকে ফারুক আহমেদকে সরানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘ফারুক ভাইকে তো আমরাই ক্রিকেটে এনেছিলাম। ক্রিকেটের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই তাকে দায়িত্বটা দেওয়া হয়। এনএসসির কোটায় তাকে পরিচালক করা হয়েছিল, পরে তিনি বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন। বোর্ডে আরও ৯ জন ডিরেক্টর আছেন। এর মাঝে ৮ জন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যে, ফারুক আহমেদ স্বেচ্ছাচারিতা করছেন; গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না এবং গত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে কী হয়েছে সেটা আপনারা দেখেছেন।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটা তথ্য অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট তাকে সরানোর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল যে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের যে দল (ফ্র্যাঞ্চাইজি) দেওয়া হচ্ছে, তারা টিম পরিচালনার মতো দক্ষ নয়। দিনশেষে সেটাই হয়েছে। তারা দেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক দিতে পারেনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলোকে কি আপনি ব্যর্থতা বলবেন না?’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন ফারুক আহমেদ। প্রায় ১৫ বছর ধরে খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। ১৯৯৩ সালে আইসিসি ট্রফিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাতটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সবশেষ দেশের জার্সিতে তাকে দেখা গেছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে।

ক্রিকেট থেকে অবসরে দুই দফায় পালন করেছেন জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব। ২০০৩ থেকে প্রথম দফায় প্রধান নির্বাচক পদে দায়িত্ব পালনকালে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে জাতীয় দলে তুলে আনেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে যে তিন ক্রিকেটার অন্যতম সেরা হিসেবেই বিবেচিত।

এরপর ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেই আরেকবার নির্বাচক হন। দল নির্বাচনে বিসিবির হস্তক্ষেপ ও দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির ফর্মুলার বিরোধিতা করে ২০১৬ সালে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ৮ বছর পর ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়ে ফিরেন।

Google search engine