
এই উরুগুয়ের কাছেই এক বছর এক মাস আগে ২-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ব্রাজিল। ব্যর্থতার বৃত্তটা আরো বড় হয়েছিল কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে। বিয়েলসার উরুগুয়ের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে কাটা পড়ে বিদায় নিতে হয়েছিল দরিভালের ব্রাজিলকে। আবারও সামনে উরুগুয়ে বাধা, কিন্তু এবারও উরুগুয়ে গেঁরোটা খুলল না। দ্বিতীয়ার্ধের নাটকীয় দশ মিনিটের সিকুয়েন্সে দুই দলের একটি করে গোল, বাকি সময় সুযোগ পেয়েও নষ্ট করার হতাশায় বছরের শেষ ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ব্রাজিলকে।
প্রথমার্ধে মাঝমাঠেই ঘুরপাক খেতে থাকা দুই দলের মধ্যে ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। নাম্বার টেন রোলে খেলা রাফিনিয়া উরুগুয়ে ডিফেন্স লাইনের ফাঁকায় বল দিয়েছিলেন ভেতরে ঢুকে পড়া আবনেরকে। উরুগুয়ের গোলকিপার রশে সেটা ঝাঁপ দিয়ে বাঁচিয়েছেন, ব্যথাও পেয়েছেন বুটের খোঁচায়। বিয়েলসার হাই-প্রেসিং উরুগুয়ে আজ বরং কিছুটা ধীরে সুস্থে ব্রাজিলের জন্য অপেক্ষা করেছে, আর ব্রাজিল বারবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে উরুগুয়ের ম্যান মার্কিং ভেঙে বক্সে স্পেস বের করে সুযোগ তৈরি করার।
তবে বাহিয়ার আরেনা ফন্তে নোভা স্টেডিয়ামের সব নাটকীয়তা জমা ছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। অথচ এবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ব্রাজিলের সামনে। রাফিনিয়ার বিটউইন দ্য লাইনে বাড়ানো বলটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জায়গামত পেয়ে মেরেছিলেন বটে, কিন্তু সেটাও চলে যায় ফার পোস্টের বাইরে। তবে দুই মিনিট পরই অন্য পাশে আরাউহোর স্কয়ার করা বলে ভালভেরদের বাঁকানো এক শটের গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য সাত মিনিটের বেশি সময় নেয়নি ব্রাজিল। ৬১ মিনিটে রাফিনিয়ার বক্স উরুগুয়ের বক্সে ডিফ্লেক্টেড হয়ে আসে বক্সের বাইরে থাকা গারসনের পায়ে। বাঁ পায়ের বাকানো এক ভলিতে দুরহ এক কোণ থেকে বল ঢুকে যায় জালে। এই গোলের মিনিটখানেক পরই বদলি নামা মার্তিনেল্লির এক ভলি বাঁচিয়ে দেন রশে। ৭৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন, কাজে লাগাতে পারেননি। বাকি সময়ে কোনোদিকে আর বিপদ না হওয়ায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
কোপা আমেরিকার ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ছয় ম্যাচে দরিভালের অর্জন তিন জয় আর দুই ড্র। হার শুধু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে তাই বছরটা শেষ করতে হচ্ছে সেলেসাওদের।
